অবশেষে আছড়া স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশীট পেল
আসানসোল। প্রতীক্ষার অবসানের পরে আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশনের ১২৭ জন ছাত্র ছাত্রীদের দেওয়া হলো উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট। করোনা সংক্রমনের কারণে ২০২১ সালের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়।রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে মৌখিক পরীক্ষা এবং নবম ও একাদশ শ্রেণীর রেজাল্টের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয় মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট। সমস্ত বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীরা মার্কশীট পেলেও আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক দের গাফিলতির কারণে ৩১৪ জন পরিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৩৯ জন ছাত্রছাত্রীদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কোন রেজাল্ট পায়নি। এই খবর ছাত্রছাত্রী দের কানে গেলে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ,মার্কশিট না পাওয়ায় ছাত্র ছাত্রীরা স্কুল চত্তরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে।তারা তাদের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট নেওয়ার দাবি জানিয়ে স্কুল প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বেশ কয়েক বার বিক্ষোভ দেখায়,সামডি আছড়ার মুখ্য রাস্তাতে বসে অবরোধ করে।বহু প্রচেষ্টার পরে বারাবনির বিধায়ক তথা জেলার সভাপতি বিধান উপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় ওই ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ যাতে নষ্ট না হয়,সেই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ সহ সালানপুর বিডিও অদিতি বসু এস.আই পাপিয়া ঘোষ এবং জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ মহম্মদ আরমান,সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিজয় সিং জেলা প্রশাসনের সাথে একাধিকবার বৈঠক ও আলোচনা করেন।অবশেষে ওই ১৩৯ জন ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ১২৭ জন ছাত্রছাত্রীদের শুক্রবার দিন মার্কশিট প্রদান করা হয় আর বাকি ১২জন ছাত্রছাত্রীদের মার্ক শিট এখন না আসায় তাদের কথা দেওয়া হয় মঙ্গলবার মধ্যে তাদের হাতে মার্কশিট তুলে দেওয়া হবে।এদিন ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে এবং ভবিষ্যতে যে কোনো অসুবিধায় তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিতে বিদ্যালয়ে আসেন জেলা পরিষদের কর্মদক্ষ মোঃ আরমান, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী কর্ম কার ঘাসি,সহ সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র,ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং,আছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান হরেরাম তেওয়ারী সহ আরো অনেকে।
এই প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের কর্মদক্ষ মোঃ আরমান বলেন বিধায়কের প্রচেষ্টায় আজ এই ছাত্রছাত্রীদের রেজাল্ট পাওয়া গেলো,তাদের আগামী দিনে যদি কলেজ বা অন্যান্য শিক্ষা সংস্থায় ভর্তি হতে অসুবিধা হয় তার জন্য সবরকমের সহায়তা করা হবে। কিছু ভুলের কারণে সমস্যা হয়েছিলো তা সমাধান করা হয়েছে। আছড়া স্কুলের এক ছাত্রী জানান প্রায় একমাস পরে রেজাল্ট পেয়ে খুব খুশি।হয়তো এরপর কলেজ বা অন্য কিছুতে পড়ার জন্য ভর্তি হতে অসুবিধা হতে পারে কিন্তু আমরা খুশি যে আজ আমাদের হাতে রেজাল্ট এলো।এর জন্য আমরা বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্য বাদ ।